গল্প

লাভ স্টোরি তাজুল এটি রসগল্পের সংকলন হলেও সব গল্প কিন্তু রসগোল্লার মতো মিষ্টি নয়। কোনো গল্পে করুণ রসও আছে। কোনোটায় বা রয়েছে তেতো রস। এসব মিলিয়েই এই রসগল্প। ভালোমন্দ বিচারের ভার সুপ্রিয় পাঠকের ওপর।

ছয়টি গল্প আছে ‘অন্তরালে পুষ্পিতা’ বইটিতে, কাউকে নিয়ে লেখা নয়, তবু মনে হয খুব চেনা, আবার একেবারে অচেনা। অনলাইনে প্রথম লেখা ‘বন্ধু ‘ গল্পটি দৈনিক যুগান্তরে ছাপা হয়েছিল । প্রাচীর ,অপেক্ষা, মল্লিকা, ছেলেমানুষি ও পিঙ্ক ওলিন্ডার গল্প গুলিতে -অস্থির সময়ে ,স্থবির জীবনে ,বন্দি মনের ছাপ পড়েছে কোথাও কোথাও, পাঠক ক্ষমা করবেন।

সাহিত্যের বিচারে এগুলো কতটা গল্প হলো, সেটা গভীর বিচার-বিবেচনার বিষয়। মূলত এই দ্বিধা থেকেই পাণ্ডুলিপিটা ঘরের এক কোনায় পড়ে ছিল দুই বছর ধরে। নিজের প্রতিও প্রশ্ন ছিল— একজন পাঠক হিসেবে অন্য অনেক বইয়ের ভিড়ে আমি এই বইটি পড়ব কেন? কারণ বই পড়তেও একজন পাঠককে প্রথমত অর্থ, দ্বিতীয়ত সময় বিনিয়োগ করতে হয়।

কখনো চারপাশের মানুষের আচরণ সেই দৃশ্যটিকে আড়াল করে ফেলে। তখন সে নদীর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সাহস অর্জন করে। ভাবে, নদী কোনো জলের ধারা নয়, যেখানে পা ফেলা যায় না। নদীও অখণ্ড ভূমি, যেখানে শস্য এবং মানুষের সহ-অবস্থান।

যখন স্কুলে পড়ি, তখন শখ করে দৈনিক ভোরের কাগজ-এ একটা লেখা পাঠাই। লেখাটা ছাপাও হয়ে যায়। কী খুশি আমি সেদিন! উৎসাহ বেড়ে গেল, নিয়মিত লেখা শুরু করলাম। পত্রিকায় লেখা পাঠাতাম আর ছাপার অপেক্ষায় থাকতাম। কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী বলল বই বের করতে। নিজেকে ঠিক লেখক বলার সাহস আমার এখনো হয়নি, আর বই বের করা! সেটা তো অনেক পরের ব্যাপার। তবু হঠাৎ করে সাহসটা করে ফেললাম।

সাধারণত গল্প বইয়ের ভূমিকা হয় না। কিন্তু এটা ঠিক গল্পের বই নয়। এখানে যে লেখাগুলো স্থান পেয়েছে সেগুলোকে আদৌ গল্প বলা যাবে কিনা– তা হলফ করে বলা মুশকিল। এগুলোর কোনো কোনোটি পুরোটাই কল্পনাপ্রসূত। কোনো কোনোটার কাঠামো, ধারণা বহুল প্রচলিত।