মুক্তিযুদ্ধে রেডিও
Original price was: 440.00৳ .330.00৳ Current price is: 330.00৳ . & Free Shipping
মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতার ছিল গণমানুষের একমাত্র গণমাধ্যম, যার মাধ্যমে গণমানব পেত অভূতপূর্ব সাহস, উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা, শক্তি, ভরসার এক দৈববাণী। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে বেতারকে অন্যতম অস্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সশস্ত্র সংগ্রামের মতো বেতার ছিল আরেক রণাঙ্গন। জনমতের প্রতিফলনে ও জনমত সৃষ্টিতে বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে তো কেউ কেউ বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট’ কিংবা রণাঙ্গনের ‘দ্বাদশ সেক্টর’। আর স্বাধীন বাংলা বেতারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বলা হয় ‘শব্দসৈনিক’ বা ‘কণ্ঠসৈনিক’।
20 in stock
Description
মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতার ছিল গণমানুষের একমাত্র গণমাধ্যম, যার মাধ্যমে গণমানব পেত অভূতপূর্ব সাহস, উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা, শক্তি, ভরসার এক দৈববাণী। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে বেতারকে অন্যতম অস্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সশস্ত্র সংগ্রামের মতো বেতার ছিল আরেক রণাঙ্গন। জনমতের প্রতিফলনে ও জনমত সৃষ্টিতে বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে তো কেউ কেউ বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট’ কিংবা রণাঙ্গনের ‘দ্বাদশ সেক্টর’। আর স্বাধীন বাংলা বেতারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বলা হয় ‘শব্দসৈনিক’ বা ‘কণ্ঠসৈনিক’।
‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যেসব গণমাধ্যম ভূমিকা পালন করে, এগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। গণমাধ্যম বলতে এখানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রিন্ট মিডিয়া বলতে সংবাদ-সাময়িকপত্রকে ধরা হয়। আর ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলতে বেতার-টিভিকে বোঝানো হয়। যুদ্ধকালে ঢাকা কিংবা অধিকৃত এলাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদ-সাময়িকপত্র সামরিক আইনের প্রখর নজরদারিতে থাকায় কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। তবে মুক্তাঞ্চল ও মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত সংবাদ-সাময়িকপত্র মুক্তিসংগ্রামরত বাঙালি জনতার মুখপত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়া হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মুজিবনগর থেকে পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামের বাংলাদেশের একমাত্র আকাশবার্তা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া।’
আমরা কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছাড়া আরও যেসব বেতার ভূমিকা রেখেছে, সেগুলোর অবদান তুলে ধরার। তরুণসমাজের অনেকেই জানে না বাংলাদেশের জন্মের পেছনে বেতারগুলো কী অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছে। সেই সময় হতাশগ্রস্ত জাতিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, আকাশবাণী, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও অস্ট্রেলিয়া, রেডিও জাপানসহ বিভিন্ন বেতার কেন্দ্র নিয়মিত খবর, গান, কথিকা, সংবাদ পর্যালোচনা প্রভৃতি প্রচারের মাধ্যমে জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। আবার রেডিও পাকিস্তান এ দেশের মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। এ বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে রেডিওর ভূমিকা, গুরুত্ব ও তাৎপর্যগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘স্বপ্ন ’৭১’-এর ‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়। ৪৬৪ পৃষ্ঠার সংখ্যাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সেখানে আমরা চেষ্টা করি দেশ-বিদেশের গবেষক, ইতিহাসবিদ, শব্দসৈনিকদের সাক্ষাৎকার, স্মৃতিকথা, তাঁদের জবানবন্দি, অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা, গান, কবিতা, গল্প, বিশিষ্ট লেখকদের স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে রেডিও, শ্রোতা, প্রতিবেদন, দলিলপত্র থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বইয়ের আলোচনাসহ নানা বিষয় তুলে ধরার।
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেরও সুবর্ণজয়ন্তী। এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা গভীরভাবে স্মরণ করি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বেলাল মোহাম্মদসহ আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, প্রকৌশলী সৈয়দ আবদুস শাকের, অনুষ্ঠান প্রযোজক আবদুল্লাহ আল ফারুক ও মোস্তফা আনোয়ার, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাশেদুল হোসেন ও আমিনুর রহমান, টেকনিক্যাল অপারেটর শরাফুজ্জামান ও রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কাজী হাবিবউদ্দিনকে (বেতারকর্মী নন)। তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধে রেডিও বইটি প্রকাশ করতে পেরে নিজকে সার্থক মনে করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠক মুক্ত আসর, বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘স্বপ্ন ’৭১’-এর সবাইকে। বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী নিয়াজ চৌধুরী তুলিসহ প্রকাশিত লেখক, গবেষক, অনুবাদক, শ্রুতি ও অনুলেখকদের সবাইকে অশেষ কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালোবাসা।
আবু সাঈদ
Additional information
Publisher |
---|
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Reviews
There are no reviews yet.