[আমার আব্বা (বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান এমএনএ) তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই এ দলিলগুলোর বিষয়ে আমাদের কিছু বলেননি। উনি ইন্তেকাল করার পর আমরা ভাইবোনেরা বিপর্যস্ত ছিলাম এবং একই সঙ্গে আমরা বড়রা দিনাজপুরে থাকতাম না বলে ছোটরা এ বিষয়ে কোন কিছুুই ভাববার অবকাশ পায়নি, কেননা আব্বা রাজনীতিবিদের পাশাপাশি আইনজীবি ছিলেন বলে তাঁর দফতরে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমার দলিল ছিল। সুতরাং সেগুলোর ভেতর যে এমন সব দলিল থাকতে পারে তা কারো মাথায় আসেনি। যাই হোক, মাত্র ক বছর আগে ঐ সকল দলিল ঝাড়মোছ করতে গিয়ে এ স্বর্ণখনি আমাদের হাতে আসে। দলিলগুলো সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। পৃষ্ঠা হিসেবে দু’হাজারের উপর।
এগুলো আমরা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেছি। অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রায় পাঁচশতের মত দলিল স্ক্যান করা এবং ফটোকপি করা এবং সেগুলো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যাক্তিকে প্রদান। মূল দলিলগুলো যৌথ তদারকিতে তিনটি ব্যাংক ভল্টে সংরক্ষণ করা আছে।]
এই দলিলগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজন ‘মুক্তিযুদ্ধের দূর্লভ দলিল’ । এ পর্বে থাকছে দিনাজপুর শহর দখলের ম্যাপ।
এ যুদ্ধ ম্যাপটা তৈরি করা হয় ভারতের শিলিগুড়িরক্যান্টনমেন্টে । মূল ম্যাপটার এক চতুর্থাংশ এখানে। অবশ্য এটুকু দিয়েও সে সময়ে স্বাধীনতা অর্জনে যুদ্ধ ম্যাপের চোখ জুড়ানো অনুভব লাভ করা যাবে ।
বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান এমএনএ মুক্তিযদ্ধের সমগ্র ৭ নং সেক্টর এবং ৬ নং সেক্টরের অর্ধেক অঞ্চলের জন্যে ল্যাফ্টেন্যাট জেনারেল পদমর্যাদায় সিভিল এ্যফেয়ার্স এ্যডভাইজার, ও পশ্চিমাঞ্চল প্রশাসনিক ক জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন বলে উনার সঙ্গে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর জেনারেল জগজিত সিং অরোরা তাঁর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহত্তর দিনাজপুর শ্রত্রুমুক্ত করার যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রনয়ন করেন ডিসেম্বরের শুরুতে।
সে সভায় ৭ সেক্টরের কমাণ্ডার কর্নেল নুরুজ্জামান, ৬ নং (অর্ধেক) সেক্টরের সেক্টর কমাণ্ডার কর্নেল বাশার, মোহম্মদ আজিজুর রহমানের সামরিক সচিব হিসেবে দিনাজপুরের সাংবাদিক বারী সাহেবও ছিলেন ।
এখানে লাল রং দাগগুলাে ট্যাঙ্ক অবস্থান চিহ্নিত করছে এবং গোল দাগের ভেতর লেখা সংখ্যা ১, ৪, ৫,৯ এবং ১২ – এগুলাে দ্বার শত্রু সংখ্যা বলা অাছে।
১ – ৭০০ জন পাক আর্মি অবস্থান করছে। ইপিআর, কুঠিবাড়ি
৪- ৩০০ জন মুজাহিদ (প্রশিক্ষণ শিবির), কশবা ।
৫ – আমবাগানে ১০০ জন পাঞ্জাব আর্মি ।
৯ – ভারী গোলাবারুদের মজুদ । মিশন রােড
১২ – মিলিটারি ফিল্ড ক্যান্টনমেন্ট( ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ৫০০ পাক আর্মি)
আরও পড়ুন:
৫ ডিসেম্বর ২০১৬। ধানমণ্ডি, ঢাকা ।